করোনাভাইরাস কী ? এই ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় ? করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা এবং একটি শিক্ষামূলক ছোট গল্প
(এই পোস্ট টি থেকে আপনি জানতে পারবেন করোনাভাইরাস কী ? এই ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় ? করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা এবং একটি শিক্ষামূলক ছোট গল্প)
করোনাভাইরাস কী?
সূম্পর্ণ তথ্য টি PDF আকারে পাওয়ার জন্য পিডিএফ এ ক্লিক করুন 👉👉👉 PDF
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা
প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া উচিত নয়। আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ যে, আপনারা কমপক্ষে ৭ দিন বাড়ির বাইরে যাবেন না ( গ্রামের পার্শবর্তী কোনো বাজার এলাকা, যেখানে লোকজনের ভিড় বেশি হয়। ) এতে আপনার পরিবার ও আপনার গ্রাম দুটোই সুস্থ থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে পাওয়া তথ্য
1. শীতল আবহাওয়া এবং তুষার করোনাভাইরাসকে হত্যা করতে পারে না।
2. করোনাভাইরাস হালকা গরম এবং আর্দ্র জলবায়ুর সাথে সঞ্চারিত হতে পারে।
3. করোনভাইরাস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে না।
4. কুকুর বা বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীরা করোনভাইরাস সংক্রমণ করতে পারে এমন কোনও প্রমাণ নেই।
5. গরম জলে স্নান করে করোনা ভাইরাসকে আটকানো যায় না।
6. Thermal scanners লোকের জ্বর হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতে পারে তবে কারোনো ভাইরাস আছে কিনা তা সনাক্ত করতে পারে না।
7. আপনার সারা শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন স্প্রে করে শরীরে মধ্যে প্রবেশকারী করোনা ভাইরাসকে হত্যা করা যাবে না।
8. রসুন স্বাস্থ্যকর তবে বর্তমানে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে রসুন খাওয়া, মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করেছে।
9. অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কেবল ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
10. আজ অবধি, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বা চিকিত্সার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই ( তাং - ২২-০৩-২০২০ )।
এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিচে দেওয়া পদ্ধতিগুলি মেনে চলতে পারেন-
![]() |
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় |
1. ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।
2.যদি আপনার একান্তই বাইরে যাওয়ার দরকার পরে, তাহলে প্রথমেই সেই জামা কাপড় ছেড়ে অন্য জামা কাপড় পরুন। আর আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
3.কোনো ঠান্ডা জিনিস খাবেন না। বেশির ভাগ সময় গরম জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
4. যে কোনো গুজব থেকে দূরে থাকুন, আসা করি ভুল আর ঠিকটা বিচার করার ক্ষমতা আপনাদের আছে।
5.বাড়ির বাচ্চা এবং বয়স্ক দের বেশি করে সাবধানে রাখুন।
6. যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন বিছানার চাদর এবং আরো সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রোদে দিয়ে ব্যবহার করুন।
7. আপনার নাক এবং মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
8.ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।
9. নন-ভেজ বিশেষত সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
10. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন এবং তাদের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করবেন না এবং তাদের ছোঁবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই ভালো থাকবেন।
জনতা কারফিউ ও একটা অঙ্ক
ধরা যাক এক লোকের নাম নন্দ ঘোষ। কারণ যত দোষ ওনাকেই দেব তো তাই এই নাম নিলাম। তো নন্দ ঘোষ মহাশয় মনে মনে ঠিক করলেন যে যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা মানবেন না। মানে ২২ তারিখে ওনার না বেরোলেও চলত, কিন্তু উনি বেরোবেন। উনি কিন্তু জানেন না যে ওনার শরীরে ভাইরাসটি আছে! তবে উনি আপাতভাবে সুস্থই আছেন। তো উনি বেরোলেন। বেরিয়ে চায়ের দোকানে গেলেন। এক কাচের গ্লাসে চা খেলেন। দোকানের কর্মচারী ছেলেটা চায়ের এঁটো গ্লাসটা একটা প্লাস্টিকের গামলার জলে ডুবিয়ে, দুবার নেড়ে আবার রেখে দিল ট্রে তে। অন্য কাস্টমার দের এঁটো গ্লাসও ওই গামলার জলে ডুবিয়ে তুলে রাখল।অন্য পাঁচটা কাস্টমার নিজেরা বলাবলি করছিল যে এখনো তো সাতটা বাজে নি, চা খেয়েই ঘরে ঢুকে যাব। আজ আর বেরবো না। নন্দ বাবু মনে মনে ভাবলেন একটু খবরের কাগজ পড়া যাক। তো খবরের কাগজ মেলে ধরে পড়ছেন, এমন সময় এলো হাঁচি। হ্যাঁচ্চোওও..। দিলেন হেঁচে কাগজের ভাঁজে। ভালোই হল, কারোর গায়ে হাঁচেন নি ভাগ্যিস! ও ঘোষ বাবু, একটু পেপারটা দেখি। এক ভদ্রলোক পেপারটা চেয়ে নিলেন নন্দ বাবুর থেকে। উনিও পেপার টা একটু দেখে নিয়েই ঘরে ঢুকে যাবেন। কিন্তু নন্দবাবু যাবেন বাজারে। তো বাজারে গেলেন। একটু আধটু কাশি হচ্ছে। মুখে রুমাল চাপা দিয়ে কাশলেন। বাজার করতে করতে ব্যাগটা বেশ ভারী হয়েছে। তো রুমাল দিয়ে ব্যাগের হাতলটা ধরছেন নন্দ বাবু। হাতে ভারটা কম লাগছে। "ওহে ভাই, আমার ব্যাগটা একটু ধরো তো। আমি একটু সেলুন থেকে দাড়িটা কেটে নি " সব্জীওয়ালা নন্দ বাবুর হাত থেকে ব্যাগের হাতলটা ধরে দোকানের একধারে রাখল। তার কিছুক্ষনের মধ্যেই এক খদ্দের এক কেজি পটল চাইল। উনিও বেছে বেছে ভালো ভালো পটল গুলি দিলেন ওই খরিদ্দারকে।এদিকে নন্দবাবু দাড়ি কেটে, বাজার ঘরে না নিয়ে গিয়ে গেলেন এক বন্ধুর বাড়িতে তাস খেলতে। এদিকে বাইরে রোদ বাড়ছে। কী? কিছু বুঝলেন? কতজনকে ভাইরাসটা উপহার দিলেন নন্দবাবু ? মাত্র কিছু ঘন্টার মধ্যে মহান নন্দবাবু কতজনকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন, সে ব্যাপারে আশা করি সামান্য ধারনা হল। একশো জনকে বললেও ভুল হবে না। আর সারাদিন বাইরে ঘুরলে? নিন, গল্প অনেক হল, এবার অঙ্কটা করা যাক। নন্দবাবু ২২ তারিখ একা ইনফেক্টেড করলেন, ধরা যাক পাঁচজনকে। হ্যাঁ, মাত্র পাঁচজনকে।পরের দিন, ২৩ তারিখ, ওই পাঁচজন আবার সংক্রমণ উপহার দিল মাত্র পাঁচজনকে। তাহলে ২৩ তারিখের শেষে, শুধুমাত্র নন্দঘোষের দোষে মোট ইনফেকটেড মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল কত? 1+5+(5×5)=31 । ২৪ তারিখ। না, আজ থেকে নন্দবাবু বাদ। উনি ওনার কাজ করে দিয়েছেন। এখন ওনার শরীরে ভাইরাসটির লক্ষ্মণ স্পষ্ট। উনি চেক আপে গেছেন। রোগ ধরা পড়বে। চিকিৎসা হবে। মোটকথা ধরে নিন উনি আর কাউকে ইনফেকটেড করছেন না।কিন্তু, বাকি তিরিশ জন রইলেন। যারা আরো পাঁচ দিন পাঁচজন করে মানুষকে ইনফেক্টেড করবেন। তাহলে আসুন, এক ঝলক দেখে নি।
২৪ তারিখ : 30×5=150,
২৫ তারিখ : 150×5=750,
২৬ তারিখ : 750×5= 3750,
২৭ তারিখ : 3750×5=18750,
২৮ তারিখ : 18750×5=93750 অর্থাৎ একসপ্তাহ পরে, শনিবার, শুধুমাত্র নন্দঘোষের দোষে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় এক লক্ষ। আর দু সপ্তাহ পরে?? আর যদি একশো টা নন্দ বাবু রাস্তায় বার হয়??? কিমবা হাজার নন্দবাবু???? কিমবা এর ও বেশি ........???? আশাকরি অঙ্কটা বুঝেছেন............. এবার কথা হল ভাইরাস টা বারো ঘন্টা বাঁচে নাকি তিনদিন, সেটা বিষয় না।আসুন, আমরা সবাই মিলে চেন টা ভেঙে দিই। দেশ বাঁচুক, আপনি বাঁচুন, আমরা বাঁচি।
ধরা যাক এক লোকের নাম নন্দ ঘোষ। কারণ যত দোষ ওনাকেই দেব তো তাই এই নাম নিলাম। তো নন্দ ঘোষ মহাশয় মনে মনে ঠিক করলেন যে যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা মানবেন না। মানে ২২ তারিখে ওনার না বেরোলেও চলত, কিন্তু উনি বেরোবেন। উনি কিন্তু জানেন না যে ওনার শরীরে ভাইরাসটি আছে! তবে উনি আপাতভাবে সুস্থই আছেন। তো উনি বেরোলেন। বেরিয়ে চায়ের দোকানে গেলেন। এক কাচের গ্লাসে চা খেলেন। দোকানের কর্মচারী ছেলেটা চায়ের এঁটো গ্লাসটা একটা প্লাস্টিকের গামলার জলে ডুবিয়ে, দুবার নেড়ে আবার রেখে দিল ট্রে তে। অন্য কাস্টমার দের এঁটো গ্লাসও ওই গামলার জলে ডুবিয়ে তুলে রাখল।অন্য পাঁচটা কাস্টমার নিজেরা বলাবলি করছিল যে এখনো তো সাতটা বাজে নি, চা খেয়েই ঘরে ঢুকে যাব। আজ আর বেরবো না। নন্দ বাবু মনে মনে ভাবলেন একটু খবরের কাগজ পড়া যাক। তো খবরের কাগজ মেলে ধরে পড়ছেন, এমন সময় এলো হাঁচি। হ্যাঁচ্চোওও..। দিলেন হেঁচে কাগজের ভাঁজে। ভালোই হল, কারোর গায়ে হাঁচেন নি ভাগ্যিস! ও ঘোষ বাবু, একটু পেপারটা দেখি। এক ভদ্রলোক পেপারটা চেয়ে নিলেন নন্দ বাবুর থেকে। উনিও পেপার টা একটু দেখে নিয়েই ঘরে ঢুকে যাবেন। কিন্তু নন্দবাবু যাবেন বাজারে। তো বাজারে গেলেন। একটু আধটু কাশি হচ্ছে। মুখে রুমাল চাপা দিয়ে কাশলেন। বাজার করতে করতে ব্যাগটা বেশ ভারী হয়েছে। তো রুমাল দিয়ে ব্যাগের হাতলটা ধরছেন নন্দ বাবু। হাতে ভারটা কম লাগছে। "ওহে ভাই, আমার ব্যাগটা একটু ধরো তো। আমি একটু সেলুন থেকে দাড়িটা কেটে নি " সব্জীওয়ালা নন্দ বাবুর হাত থেকে ব্যাগের হাতলটা ধরে দোকানের একধারে রাখল। তার কিছুক্ষনের মধ্যেই এক খদ্দের এক কেজি পটল চাইল। উনিও বেছে বেছে ভালো ভালো পটল গুলি দিলেন ওই খরিদ্দারকে।এদিকে নন্দবাবু দাড়ি কেটে, বাজার ঘরে না নিয়ে গিয়ে গেলেন এক বন্ধুর বাড়িতে তাস খেলতে। এদিকে বাইরে রোদ বাড়ছে। কী? কিছু বুঝলেন? কতজনকে ভাইরাসটা উপহার দিলেন নন্দবাবু ? মাত্র কিছু ঘন্টার মধ্যে মহান নন্দবাবু কতজনকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন, সে ব্যাপারে আশা করি সামান্য ধারনা হল। একশো জনকে বললেও ভুল হবে না। আর সারাদিন বাইরে ঘুরলে? নিন, গল্প অনেক হল, এবার অঙ্কটা করা যাক। নন্দবাবু ২২ তারিখ একা ইনফেক্টেড করলেন, ধরা যাক পাঁচজনকে। হ্যাঁ, মাত্র পাঁচজনকে।পরের দিন, ২৩ তারিখ, ওই পাঁচজন আবার সংক্রমণ উপহার দিল মাত্র পাঁচজনকে। তাহলে ২৩ তারিখের শেষে, শুধুমাত্র নন্দঘোষের দোষে মোট ইনফেকটেড মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল কত? 1+5+(5×5)=31 । ২৪ তারিখ। না, আজ থেকে নন্দবাবু বাদ। উনি ওনার কাজ করে দিয়েছেন। এখন ওনার শরীরে ভাইরাসটির লক্ষ্মণ স্পষ্ট। উনি চেক আপে গেছেন। রোগ ধরা পড়বে। চিকিৎসা হবে। মোটকথা ধরে নিন উনি আর কাউকে ইনফেকটেড করছেন না।কিন্তু, বাকি তিরিশ জন রইলেন। যারা আরো পাঁচ দিন পাঁচজন করে মানুষকে ইনফেক্টেড করবেন। তাহলে আসুন, এক ঝলক দেখে নি।
২৪ তারিখ : 30×5=150,
২৫ তারিখ : 150×5=750,
২৬ তারিখ : 750×5= 3750,
২৭ তারিখ : 3750×5=18750,
২৮ তারিখ : 18750×5=93750 অর্থাৎ একসপ্তাহ পরে, শনিবার, শুধুমাত্র নন্দঘোষের দোষে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় এক লক্ষ। আর দু সপ্তাহ পরে?? আর যদি একশো টা নন্দ বাবু রাস্তায় বার হয়??? কিমবা হাজার নন্দবাবু???? কিমবা এর ও বেশি ........???? আশাকরি অঙ্কটা বুঝেছেন............. এবার কথা হল ভাইরাস টা বারো ঘন্টা বাঁচে নাকি তিনদিন, সেটা বিষয় না।আসুন, আমরা সবাই মিলে চেন টা ভেঙে দিই। দেশ বাঁচুক, আপনি বাঁচুন, আমরা বাঁচি।
COMMENTS